বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলেদের পদচারণায় সরব সুন্দরবন

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪

জেলেদের পদচারণায় সরব সুন্দরবন
মনিরুজ্জামান মনিঃ
বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন বনজীবীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। জুন, জুলাই, আগস্ট তিন মাস নিষেধাজ্ঞা শেষে গত রোববার থেকে সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া, মধু আহরণ করতে জেলেরা প্রবেশ করতে শুরু করেছে।জেলে বাউলিদের মনে আনন্দের যেন কমতি নেই।এ এক অন্যরকম দৃশ্য । জেলেদের পদচারণায় সুন্দরবন পূর্বের নায় আবারো সরব হয়ে উঠছে।  পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের ১৬টি ফরেস্ট স্টেশন থেকে ১২ হাজার বৈধ বিএলসিধারী জেলে পাস পারমিট নিয়ে মাছ ও কাঁকড়া শিকার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিম সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তী আবু নাসের মোহাম্মদ মহসিন হোসেন। পাশাপাশি সুন্দরবনে এখন   জলদস্যুদের  উৎপাত না থাকায়  জনগণের স্বস্তি ফিরে এসেছে। জেলেরা দলে দলে পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে ঢুকছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ০২ সেপ্টেম্বর  পর্যন্ত  অর্ধেক বিএলসিধারী জেলে পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে 'প্রবেশ করেছে। মাছের জন্য খেওলা, চরপাতা ও গয়স্য জালের পাস ইস্যু করা হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক কাঁকড়ার পারমিট নিয়েছেন জেলেরা। তবে মধু আহরণের জন্য এখনো পর্যন্ত ফরেই স্টেশন থেকে মৌয়ালরা পাস গ্রহণ করেননি। স্টেশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন দু'এক দিনের মধ্যে মধু সংগ্রহের পাস নিতে মৌয়ালরা হাজির হবেন। মঙ্গলবার  সকাল ১১টায় কয়রার দেউলিয়া মাছের আড়ত ও বেদকাশির ফুলতলা আড়তে দিয়ে দেখা যায় সুন্দরবনের চিংড়ি, দাতনে, পারশে, কাউন, পায়রা, চ্যাটাবেলে, ভেটকি, পেশাসহ অন্যান্য মাছে আড়ত ভরে উঠেছে। তবে ছোট প্রজাতির মাছের পরিমাণ বেশি দেখা যায়। বন বিভাগের নির্দেশনা না মেনে অনেক জেলে ঘন ফাঁসের চরপাতা ও ভেষালি জালে মাছ শিকার করায় চিংড়িসহ ছোট মাছ বেশি ধরা পড়েছে। তবে রেকর্ড পরিমাণ মাছ জালে ধরা পড়ায় জেলেরা বেশ খুশি। ৫নং কয়রা গ্রামের জেলে গোলাম সরদার জানায়, তিন মাস পর কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস নিয়ে গত রোববার রাতে সুন্দরবনে চরপাতার জালে মাছ ধরতে গিয়ে 
আশানুরূপ মাছ পেয়েছি। মহেশ্বরীপুরের জেলে আজিজল জানায় বানিয়াখালি ফরেস্ট স্টেশন থেকে পাস নিয়ে বনে মাছ শিকার করে প্রথম দিনেভালো মাছ পেয়েছি। তিন মান পর পাস পারমিট চালু হওয়ায় জেলেদের চোখে মুখে হাসির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। 

কাশিয়াবাদ ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর প্রথম দিনে ৫ শতাধিক বিএলসিধারী জেলে তার স্টেশন থেকে মাছ, কাঁকড়ার পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। গণ ফাঁসের জাল ব্যবহার করে কেউ যায় চিংড়িসহ। ছোট প্রজাতির মাছ শিকার করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে। এ জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তবে প্রতিবছরই অসাধু চক্র বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ প্রতিবেদক কে জানান।
0 Comments